বাস্তবতার আয়নায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

torun-o-shikkha-islamer-aloke-notun-projonmer-jatra


একদিকে বাজছে বিশ্ব কবির লেখা জাতীয় সংগীত—

"আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি",আর অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ, চরমোনাইর পীর সাহেবসহ অনেকেই দাঁড়িয়ে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছেন।এটিকে আমরা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখি।

তবে প্রশ্ন হলো:

মাহফিলে মিলাদে যখন উপস্থিত মুসলমানগণ হৃদয়ের গভীর থেকে দাঁড়িয়ে বলেন—"ইয়া নাবী সালামু আলাইকা"

রাসূল ﷺ কে আদব ও সম্মানের সাথে সালাম জানান,তখনই কেন কিছু পীর সাহেব কিংবা দলবিশেষ ফতোয়াবাজিতে লিপ্ত হন?

দেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়ানো যদি আপনার কাছে আদব হয়, তাহলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সম্মানে দাঁড়িয়ে সালাম জানানোতে এত বাধা কেন?

এলার্জি কি কেবল রাসূল ﷺ এর প্রতি আদবের জায়গাতেই শুরু হয়?

عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ ﷺ:

«لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَلَدِهِ، وَوَالِدِهِ، وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ»

হযরত সাইয়্যেদুনা আনাস رضي الله تعالى عنه  থেকে বর্ণিত:

নবী কারীম রউফুর রহীম ﷺ বলেন—

“তোমাদের মধ্যে কেউ পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার সন্তান, তার পিতা এবং সকল মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হয়ে উঠি।”

 আচ্ছা চলুন একটু  চিন্তা করে আসি.....

নবী করীম ﷺ এর প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অনিবার্য অংশ।ভালোবাসা মানেই শুধু মুখে বলা নয়, বরং তা প্রকাশে আদব ও সম্মানও থাকতে হবে।যাঁরা দেশের সংগীত বাজলে দাঁড়িয়ে যান, তাঁরা রাসূল ﷺ এর নাম শুনে দাঁড়ানোকে কেবল ‘বিদআত’ বলে ফতোয়া জারি করেন— এটা কি দ্বিচারিতা নয়?

যদি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যে দাঁড়ানো জায়েয হয়, তাহলে রাসূল ﷺ এর প্রতি প্রেমে দাঁড়ানোতে ফতোয়ার কী প্রয়োজন?

আল্লাহ আমাদের হিফাযত করুন, হকের দিকেই ফিরিয়ে দিন।

📝 শেষ কথা…

যেটা আমার ভালো না-ও লাগতে পারে, সেটা অন্য কারো ভালো লাগতেই পারে।

সবার চিন্তাধারা একরকম হয় না, কিন্তু সত্যের সামনে সকলকেই নত হতে হয়।

তাই বাস্তবতায় ফিরে আসুন, এবং রাসূল ﷺ এর প্রেম ও আদবকে নিজের জীবনে স্থান দিন।

বিনি আমিন রেজা আত্তারী