উচ্চ শিক্ষা ও ডিভোর্সের বাস্তব চিত্র — এক ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে
আজকাল সমাজে একটি বাস্তব চিত্র আমরা প্রায়ই দেখতে পাই — যত উচ্চশিক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই ডিভোর্সের হারও বেড়ে যাচ্ছে।
এর অন্যতম কারণ হলো, নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই ইসলামী সিফাত ও গৃহস্থালি জীবনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আজকের যুগে নারীদের মধ্যে অনেকেই জ্ঞান অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজসেবায় অংশ নিচ্ছে — এটা ভালো দিক।
কিন্তু একই সঙ্গে দেখা যায়, সেই নারীরাই অনেক সময় নিজেদের ঘরের দায়িত্ব, স্বামীর হক ও পরিবারে আদবের জায়গাটি ভুলে যাচ্ছে।
ভার্সিটির নানা ইভেন্টে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, রাত্রি জাগা, স্বেচ্ছাসেবা— সব জায়গায় অংশগ্রহণ থাকে;
তবে ঘরের কাজ, স্বামীর যত্ন ও পরিবারে সময় দেওয়াটাই যেন অনেকের কাছে বোঝা মনে হয়।
র্যাগ-ডে, পহেলা বৈশাখ কিংবা নানা উৎসবে তারা যে নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করে,
যদি সেই নিষ্ঠার অল্প অংশও ঘর-সংসারে প্রয়োগ করত, তাহলে কত সুখের সংসার গড়ে উঠত!
আজ অনেক নারী কর্মজীবনে পরিশ্রম করে, বসের নির্দেশ মেনে চলে,
ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাজ করে— তবু মনে কোনো অভিযোগ নেই।
কিন্তু সেই নারীই যখন ঘরে আসে, স্বামীর একটি অনুরোধও তার কাছে কখনো “চাপ” মনে হয়।
যেখানে কর্মস্থলে বসের প্রতি আনুগত্য থাকে, সেখানে স্বামীর আনুগত্য যেন পরাধীনতার প্রতীক হয়ে যায়!
আসলে সমস্যাটা শিক্ষা নয়— সমস্যাটা হলো দৃষ্টিভঙ্গি।
যখন শিক্ষা আল্লাহভীতি ও পরকালীন জবাবদিহিতার চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়,
তখন সে শিক্ষা মানুষকে নম্র নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী করে তোলে।
📖 আল্লাহ তায়ালা বলেন:ইসলাম নারীকে সম্মান দিয়েছে, মর্যাদা দিয়েছে,
আর তোমরা একে অপরের প্রতি সদ্ব্যবহার করো; নিশ্চয়ই আল্লাহ সেসব লোককে ভালোবাসেন যারা উত্তম আচরণকারী।
(সূরা আন্-নিসা, ৩৬)
কিন্তু সেই মর্যাদার আসল সৌন্দর্য তখনই ফুটে ওঠে,
যখন নারী দীন ও ঘর-সংসার উভয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে —
স্বামীকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং জীবনের সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করে।
আসুন আমরা সবাই নিজেদের অবস্থান থেকে ভাবি — জ্ঞানের আলো যেন আমাদের অহংকারী নয়, বরং আল্লাহভীরু ও সংসারে শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী বানায়।
1 Comments
মাশাআল্লাহ
ReplyDeleteআপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না।
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
جزاك الله خير